১২:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

পুলিশ পরিচয়ে মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে জেলেদের টাকা ও মাছ ছিনতাইয়ের অভিযোগ

চট্টগ্রাম নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডের ১২ অক্টোবর আকমল আলী লিংক রোড এলাকায় পুলিশের পরিচয়ে জেলেদের কাছ থেকে মাছ, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম মুন্না, তিনি নিজেকে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকেন।

 

ঘটনাটি ঘটে রবিবার গভীর রাতে, প্রায় রাত ২টা ৩০ মিনিটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্না ও তার সহযোগী সহ ভুক্তভোগী মো: বাবুল হোসেন কে পুলিশ পরিচয়ে ওই এলাকায় আসে। তারা জেলেদের হাতকড়া পরানোর ভয় দেখিয়ে টাকা মোবাইল ও ইলিশ মাছ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

ভুক্তভোগী মো: বাবুল হোসেন বলেন,আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। অল্প দামে ইলিশ মাছ কিনতে ঘাটে গিয়েছিলাম। এ সময় কয়েকজন এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয় এবং হাতকড়া পরানোর হুমকি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা ও ইলিশ মাছ নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা আমার মোবাইলও নিয়ে পরে ফেরত দেয়।

ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্তরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা তারা আগেও ঘটিয়েছে। প্রায়ই তারা মোটরসাইকেলে এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানবাধিকার কর্মী মুন্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,

আকমল আলী ঘাটে প্রতিনিয়ত জাহাজ থেকে চোরাই পণ্য নামানো হয়। সেই তথ্য যাচাই করতে সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটি

অপরাধ পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সংস্থার একটি টিম সেখানে গিয়েছিল। আমরা ইপিজেড থানার এসআই কাদেরের সঙ্গেও কথা বলেছি।

এ বিষয়ে জানতে সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটি, পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সংস্থা মহাসচিব শাহজামাল রাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়, আইনের শাসন এবং মানবতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, একজন মানুষের মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজের স্থায়ী শান্তি, ন্যায় এবং টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি

মানবাধিকার এমন এক অধিকার, যা প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবে পায়। এটি জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সমানভাবে প্রযোজ্য।

উক্ত বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি

 

স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, না হলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে

এ বিষয়ে ইপিজেড থানার এসআই কাদেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মানবাধিকারের কোনো কর্মীর আমাকে ফোন করেনি এ কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবংমুন্নাকে আমি চিনি না

 

 

 

জনপ্রিয়

৩১ দফায় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রোডম্যাপ তুলে ধরলেন শামসুল আলম

পুলিশ পরিচয়ে মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে জেলেদের টাকা ও মাছ ছিনতাইয়ের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৩:১০:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরীর ৩৯ নং ওয়ার্ডের ১২ অক্টোবর আকমল আলী লিংক রোড এলাকায় পুলিশের পরিচয়ে জেলেদের কাছ থেকে মাছ, মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক মানবাধিকার কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম মুন্না, তিনি নিজেকে এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকেন।

 

ঘটনাটি ঘটে রবিবার গভীর রাতে, প্রায় রাত ২টা ৩০ মিনিটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুন্না ও তার সহযোগী সহ ভুক্তভোগী মো: বাবুল হোসেন কে পুলিশ পরিচয়ে ওই এলাকায় আসে। তারা জেলেদের হাতকড়া পরানোর ভয় দেখিয়ে টাকা মোবাইল ও ইলিশ মাছ নিয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

ভুক্তভোগী মো: বাবুল হোসেন বলেন,আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। অল্প দামে ইলিশ মাছ কিনতে ঘাটে গিয়েছিলাম। এ সময় কয়েকজন এসে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয় এবং হাতকড়া পরানোর হুমকি দিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা ও ইলিশ মাছ নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তারা আমার মোবাইলও নিয়ে পরে ফেরত দেয়।

ঘটনাটি জানাজানি হলে অভিযুক্তরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা তারা আগেও ঘটিয়েছে। প্রায়ই তারা মোটরসাইকেলে এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানবাধিকার কর্মী মুন্নার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,

আকমল আলী ঘাটে প্রতিনিয়ত জাহাজ থেকে চোরাই পণ্য নামানো হয়। সেই তথ্য যাচাই করতে সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটি

অপরাধ পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সংস্থার একটি টিম সেখানে গিয়েছিল। আমরা ইপিজেড থানার এসআই কাদেরের সঙ্গেও কথা বলেছি।

এ বিষয়ে জানতে সাউথ এশিয়ান ক্রাইম ওয়াচ সোসাইটি, পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সংস্থা মহাসচিব শাহজামাল রাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়, আইনের শাসন এবং মানবতার মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে আসছে। আমরা বিশ্বাস করি, একজন মানুষের মর্যাদা, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজের স্থায়ী শান্তি, ন্যায় এবং টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি

মানবাধিকার এমন এক অধিকার, যা প্রতিটি মানুষ জন্মগতভাবে পায়। এটি জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণ বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সমানভাবে প্রযোজ্য।

উক্ত বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে জানিয়েছেন তিনি

 

স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন, না হলে এমন ঘটনা ভবিষ্যতেও ঘটতে পারে

এ বিষয়ে ইপিজেড থানার এসআই কাদেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মানবাধিকারের কোনো কর্মীর আমাকে ফোন করেনি এ কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবংমুন্নাকে আমি চিনি না