
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ ঈশা খান গেইট রুলিং মিল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন জাহাঙ্গীর আলম।
নাম রেহেনা বেগম পেশায় একজন গার্মেন্টস কর্মী এছাড়া ও রয়েছে তার অন্য আর একটি পরিচয়।
প্রেম ভালোবাসা করা যেন তার নিত্যদিনের সঙ্গী। রেহেনার জ্বালায় অশান্তিতে জীবনযাপন করছেন জাহাঙ্গীর আলম সহ তার পরিবার।
গত ৫ অক্টোবর রবিবার বিকেলে রেহেনার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎতের একটি সংবাদ প্রকাশিক করেন দৈনিক কালের ছবি। সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর অবশেষে ক্যামেরার সামনে এসে গরুর দুধ দিয়ে গোসল করে মুখ খুললেন জাহাঙ্গীর আলম।
গতকাল ৮ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যায় ভিডিও সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য জানান জাহাঙ্গীর আলম।
এবিষয়ে জাহাঙ্গীর আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক কালের ছবি কে বলেন, ভুয়া স্ট্যাম্প বানিয়ে রেহেনা নামে এক প্রতারক নারী বিভিন্ন জায়গায় নিজেকে পরিচয় দিয়ে আসছে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তিনি আরও বলেন,আমার মোবাইল ফোনে কল করে কান্নাকাটি শুরু করেন,যার একটি কল রেকর্ড রয়েছে বলে জানান তিনি। রেহেনা আমাকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিবাহ ও টাকা আত্মসাৎ করেন।এবং ভুয়া স্ট্যাম্প বানিয়ে স্বামীর অধিকার আদায় করার চেষ্টা করছেন। প্রায় এক বছর আমাদের বাসায় কাজের ভুয়া হিসেবে কাজ করতেন রেহেনা। বাসায় কাজের সরলতার সুযোগ নিয়ে আমার সাথে অবৈধভাবে মেলামেশা করার চেষ্টা চালান রেহেনা।
তিনি আরও বলেন,রেহেনা আমাকে তালাক দেন,আমিও রেহেনা কে তালাক দিয়েছি,এবং দেনাপাওনা যা ছিল,সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছি। তালাক দেয়ার পরেও মোবাইল ফোনে কল করে নানা রকম হুমকি প্রদান করছে রেহেনা।রেহেনা একজন চরিত্রহীন মহিলা তা আমার যানা ছিল না।মাঝার গলিতে গেলে রেহেনার কুকৃতি জানতে পারবেন।রেহেনার কারণে আমার সংসারে আজ অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তালাক দেওয়ার পরে আবারো নতুন করে আমার বাসার সামনে এসে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও মোবাইল ফোনে আত্মহত্যা করার হুমকি প্রদান করেন রেহেনা। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
তথ্য সূত্রে যানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে রেহেনা অত্র এলাকায় সাধারণ মানুষ কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেয়া তার মুল পেশা।বিভিন্ন নাম্বারে কল করে বিকাশে অর্থ লেনদেন সহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে রেহেনার মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদমাধ্যম কে বলেন,আপনি নিউজটা করবেন না,।নিউজটা করার আগে আমি আপনার সাথে দেখা করব বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি 








