
চট্টগ্রামের রাজনীতিতে আবারও রক্ত ঝরল। চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী গণসংযোগে গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে সরোয়ার বাবলা নামে একজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরের বাকলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নগরের বাকলিয়া ও আশপাশ এলাকায় পরিচিত মুখ ছিলেন সরোয়ার বাবলা।
গত বছরের ৩০ মার্চ অ্যাকসেস রোডে তার প্রাইভেটকার লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়—সেই ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি, তবে প্রাণ হারান দুজন।
তদন্তে উঠে আসে, এলাকার আধিপত্য নিয়ে ‘ছোট সাজ্জাদ’ গ্রুপের নির্দেশেই বাবলাকে টার্গেট করা হয়েছিল।
পুলিশ জানায়, সরোয়ার বাবলার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অস্ত্র ও হত্যাসহ প্রায় ১৫টি মামলা ছিল।
তবে কারামুক্তির পর তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় হতে শুরু করেন।
বিএনপির কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে ধীরে ধীরে ‘পুরনো জীবন থেকে ফিরে আসা’ এক চেহারা গড়ছিলেন তিনি।
বুধবার বিকেলে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে যোগ দেন বাবলা।
মাগরিবের নামাজের পর হঠাৎই এলাকায় ছুটে আসে গুলির শব্দ।
গুরুতর আহত বাবলাকে দ্রুত এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নতুন এ ঘটনার পেছনে সরোয়ারের পুরনো প্রতিপক্ষ ছোট সাজ্জাদ গ্রুপের সদস্য রায়হান, ইমনসহ কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে।
সম্প্রতি এ গ্রুপের নেতৃত্বে নগর ও রাউজানে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ পুলিশের।
বিএনপি দাবি করছে, নিহত সরোয়ার বাবলা দলের কোনো পদে ছিলেন না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন,
প্রার্থীর জনসংযোগে শত শত মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই।
পুলিশও বলছে, এ হামলা রাজনৈতিক নয়, বরং দুই প্রতিদ্বন্দ্বী সন্ত্রাসী গ্রুপের আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছে।














